img

মাসটা মোটে এক জয় নিয়ে শেষ করার শঙ্কা জেগেছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সেই ২ নভেম্বর ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ের পর যে আর জয়ের মুখ দেখেনি দলটা। তবে ৪ গোল করে তাদের ত্রাতা হয়ে এলেন এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-৩ গোলে জেতালেন অলিম্পিয়াকোসের মাঠে। বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে এই জয়ে রিয়াল তাদের সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচের জয়হীন ধারা ভাঙল।

ম্যাচের শুরুতেই গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোস গোল করে এগিয়ে যায়। চিকিনিয়ো ২০ গজ দূর থেকে দারুণ এক শটে গোল করেন। তবে এখান থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন এমবাপ্পে।

২২ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দুর্দান্ত পাস ধরে এমবাপ্পে দৌড়ে গিয়ে গোলরক্ষক কোস্তাস জোলাকিসের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান। দুই মিনিট পর আরদা গুলেরের ক্রস থেকে নিচু হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি।

মাত্র ছয় মিনিট ৪২ সেকেন্ডের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এমবাপ্পে। ডিফেন্স ভেঙে এগিয়ে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় বল পাঠান জালে। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিক। লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ ২০২২ সালে রেঞ্জার্সের বিপক্ষে আরও দ্রুত হ্যাটট্রিক করেছিলেন।

প্রথমার্ধে চোট পাওয়া চিকিনিয়োর বদলি হিসেবে নামা মেহদি তারেমি ৫২ মিনিটে দারুণ হেডে গোল করে অলিম্পিয়াকোসকে ম্যাচে ফেরান। থিবো কোর্তোয়া অসুস্থ থাকায় আন্দ্রি লুনিন রিয়ালের গোলপোস্ট সামলাচ্ছিলেন।

গ্রিসে এর আগে সাতবার গিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ কখনো জিততে পারেনি। কিন্তু এমবাপ্পে সেই ইতিহাসও বদলে দিলেন। ভিনিসিয়ুসের কাছ থেকে বল পেয়ে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন তিনি।

এই গোলের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে এমবাপ্পের মোট গোল দাঁড়াল পাঁচ ম্যাচে নয়টিতে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভিক্টর ওসিমহেনের চেয়ে তিনি তিন গোল এগিয়ে।

শেষ দিকে আয়ুব এল কাবি গোল করে ব্যবধান কমালেও রিয়াল নিজেদের লিড ধরে রেখে ম্যাচ জিতে নেয়। পাঁচ ম্যাচে এটি রিয়ালের চতুর্থ জয়। লিভারপুলের কাছে শেষ ম্যাচে হারের পর তারা এই বড় জয় দিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ালো।

এই বিভাগের আরও খবর